You are here
Home > জাতীয় > সীতাকুন্ডে আরো দু’টি মরদেহের অংশবিশেষ উদ্ধার

সীতাকুন্ডে আরো দু’টি মরদেহের অংশবিশেষ উদ্ধার

 সীতাকুন্ড বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে আরও দুটি মরদেহের ভস্মীভূত অংশবিশেষ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। 
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটের দিকে এই দুটি লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে অগ্নিকা- ও দেড় ঘণ্টা পর বিস্ফোরণের ঘটনায় এ নিয়ে গত তিন দিনে ৪৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এর আগে মৃতের সংখ্যা ছিল ৪১। আজ উদ্ধার হওয়া দুটি লাশের মধ্যে একটি অগ্নিনির্বাপক দলের সদস্য এবং অপরটি ডিপোর নিরাপত্তা প্রহরীর বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ দুপুরে আরো দুটি মরদেহের ভস্মীভূত অংশবিশেষ উদ্ধার করেছি আমরা। এদের একটির পাশে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের বুট আর পিপিইর আলামত পেয়েছি। অন্যটির আলামতের মধ্যে সিকিউরিটির পোশাকের পোড়া অংশ ছিল। তাই ধারণা করছি এই মরদেহগুলোর একটি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যের, অন্যটি ডিপোর সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা কোনো রক্ষীর।’
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁর ব্যক্তিগত চক্ষু চিকিৎসক ও ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক আজ সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সব রোগির চক্ষু পরীক্ষা করেছেন। 
তিনি বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে এখানে এসেছি। চমেকহা’য় চিকিৎসাধীন ৬৩ জন রোগির চোখ আমি পরীক্ষা করেছি। তারা কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাত পেয়েছেন। এখানে কিছু রোগির চোখে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এসব রোগির চিকিৎসায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মেডিকেল টিম গঠন করবো। ভালো-মন্দ সবকিছুই আল্লাহর হাতে। চিকিৎসাধীনদের মধ্যে একজনের অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে দেশের বাইরেও নিয়ে যেতে হতে পারে।’
সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম আজ বেলা ১১ টার দিকে ডিপো ফটকে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘বিএম ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিছু কন্টেইনার থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর যাতে হতাহত না ঘটে তার জন্য আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি। এ কারণে যেগুলো থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে, সেগুলোর আশপাশে আমরা কম যাচ্ছি। আমরা আর কোনো হতাহত চাই না। আমাদের টার্গেট হচ্ছে যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে, আর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়।’
সংশ্লিষ্ট সকলকে আশ^স্ত করে আরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

Similar Articles

Leave a Reply

Top