You are here
Home > জাতীয় > সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট মহাসড়ক প্রকল্প অনুমোদিত

সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট মহাসড়ক প্রকল্প অনুমোদিত

সিলেটের “কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ” প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হওয়ায় সিলেটবাসী উচ্ছ্বসিত। আজ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সিলেটবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহাসড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার ভারী ট্রাক যাতায়াত করে। দুই লেনের এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় রয়েছে। সড়কটি সরু হওয়ায় দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। এটি সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে যাতায়াতে প্রধান ও একমাত্র বিকল্প পথ। একইসঙ্গে, সিলেট শহরের যানজট এড়ানোর জন্য বাণিজ্যিক যানবাহনের ডাইভারশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি নির্মাণ করা হয় ২০১২-১৪ অর্থবছরে। পরবর্তীতে পাথরবাহী ট্রাক চলাচল, বিমানবন্দর অভিমুখীদের সুবিধা এবং পর্যটকবাহী যান চলাচলের জন্য সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার দাবি ওঠে সিলেটে। এ প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। পরের বছর চার লেন সড়কের সাথে দুটি সার্ভিস লেন যুক্ত করে তৈরি করা হয় সংশোধিত প্রস্তাবনা। ২০১৯ সালের দিকে শুধুমাত্র চার লেনের প্রস্তাবনা জমা পড়ে মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু কাজের কাজ আর কিছুই হচ্ছিল না। আওয়ামী লীগ চলতি মেয়াদে সরকার গঠনের পর সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে গতি আনেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। সড়কটি ৪-লেনে উন্নীত হলে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সঙ্গে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার যাতায়াত সহজ হবে এবং সিলেটের যানজট কমে যাবে। একইসাথে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সাথে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার যানজট মুক্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এছাড়া সিলেটের ভোলাগঞ্জ হতে চলাচলকারী ট্রাক ও অন্যান্য ভারী যানবাহনের জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে সিলেট শহরে যানজট নিরসন হবে।
সড়কটি সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ছয় কিলোমিটার কুমারগাঁওয়ে শুরু হয়েছে এবং বাদাঘাট দিয়ে হয়ে এয়ারপোর্টের নিকটে ওসমানী বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বাদাঘাট লিংক রোডসহ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৭৮০ কিলোমিটার এবং বিদ্যমান প্রস্থ পাঁচ দশমিক ৫০ মিটার। সড়কটির শেষ প্রান্ত থেকে ৮শ’ মিটার দূরে সিলেট সড়ক শুরু হয়েছে, যা বড় বড় পাথর কোয়ারির সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। ভোলাগঞ্জ হতে পাথর বহনকারী ট্রাকগুলো সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে, তবে নগরীর কেন্দ্রস্থল আম্বরখানা ইন্টারসেকশনে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে সময় ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত হলে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো আম্বরখানার দীর্ঘ যানজট এড়িয়ে বাদাঘাট, কুমারগাঁও দিয়ে জাতীয় মহাসড়কে পৌঁছাবে। এতে সিলেট শহরের যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে।
সিলেটবাসী দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এবং বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্যতম অঙ্গীকারের এই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হওয়ায় সিলেটের সাধারণ মানুষ ও বিশিষ্ট জনেরা অত্যন্ত আনন্দিত। তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন।

Similar Articles

Leave a Reply

Top