সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে ভাড়াবাড়ি থেকে রোজিনা পারভিন (৩০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজারগ্রাম রহিমপুর এলাকায় সবিলার রহমানের বাড়ি থেকে রোববার রাত ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রোজিনা পারভিন কালীগঞ্জ উপজেলার সদরের বাজারগ্রাম কাশেমপুর এলাকার মোহাম্মদ রায়হান আলীর মেয়ে ও ঝিনাইদহের কোটচাঁদ উপজেলার মোহরপুর এলাকার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
মোহাম্মদ রায়হান আলী জানান, তার মেয়ের সঙ্গে প্রায় ৫ বছর আগে শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। তারপর থেকে তারা পাশের গ্রাম বাজারগ্রাম রহিমপুর এলাকার সবিলার রহমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। গত ৫-৬ মাস ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল।
রায়হান আলীর অভিযোগ তারই জের ধরে শফিকুল তার মেয়েকে মারপিটের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। পরে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে।
কালীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক বেলাল হোসেন জানান, এলাকাবাসির কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থল গিয়ে তালাবদ্ধ ঘর থেকে রোজিনার মরদেহ উদ্ধার করেছে। তার মরদেহ মেঝেতে পড়ে ছিল।
কালীগঞ্জ কুশলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খায়রুল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, রোজিনা পারভিনকে পারপিট করার পর হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, রোজিনাকে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম মারপিট করার পর শ্বাসরোধ করে শনিবার রাতেই রোজিনাকে হত্যা করেছেন। পরে ঘরে তালা দিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার প্রাথমিকভাবে একটি সাধারণ ডায়রি করে রোববার রাতের ঘরের তালা ভেঙ্গে মেঝেতে পড়ে থাকা রোজিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। কেউ মামলা না দিলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবো। সফিকুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।