You are here
Home > জাতীয় > সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের বিধান নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের বিধান নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেয়া সংক্রান্ত আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি পিছিয়েছে।

রিটকারী পক্ষে সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দেন।

এ সংক্রান্ত রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারা বাতিল ও সংবিধানের ২৬, ২৭, ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়।

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ গত ১ সেপ্টেম্বর  হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। পাশাপাশি ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।

বিষয়টি আদালতে উপস্থাপিত হলে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আজ বলেন, রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ঢাকার বাইরে রয়েছেন। এ জন্য তিনি এক দিন সময় চেয়েছেন। পরে আদালত বলেন, ‘নট টুডে’। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়।

আইনটির ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে করা ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে।

ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থী উল্লেখ করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিন আইনজীবী ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।

Similar Articles

Leave a Reply

Top