ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শিশু বক্তা হিসাবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর সাতদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আসামি রফিকুল ইসলাম মাদানীকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের ভার্চ্যুয়াল আদালতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আসামি রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।শুনানি শেষে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন।
রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় আদনান শান্ত নামের এক ব্যক্তি এই মামলাটি দায়ের করেন।
আদনান শান্ত তার এজাহারে বলেন, ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আসামি রফিকুল ইসলাম মাদানী দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তার এসব বক্তব্য দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করছে।
গত ৭ এপ্রিল ভোরে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দার নিজ বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ এপ্রিল তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ২৫ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে রফিকুল ইসলাম মাদানীও অংশ নেন। ওই দিন তাকে মতিঝিল থানা পুলিশ আটক করে পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ।