ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে ইউজিসির শিক্ষা বিষয়ক নেটওয়ার্ক বিডিরেনকে স্বল্প দামে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ দিবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট নির্ভর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বাড়াতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মোস্তাফা জব্বার আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিডিরেনের সাথে এ বিষয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দীল আফরোজা বেগম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন, সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম হাবিবুর রহমান এবং বিডিরেনের সিইও মোহাম্মদ তাওরিত বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে ইতোপূর্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে সারাদেশে ৫৮৭টি সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই চালু করা হয়েছে। এছাড়াও বিটিআরসির এসওএফ’র অর্থায়নে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘শিক্ষাকে শিক্ষার জায়গায় দেখতে হবে। প্রয়োজনে সিএসআর থেকে যোগ করে হলেও স্বল্প মূল্যে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করতে হবে, এটা আমাদের দায়িত্ব।’
তিনি ইউজিসিকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে আপনাদের প্রচেষ্টা আমাদেরই প্রচেষ্টা বলে মনে করি। এ লক্ষ্যে আমরা বিটিসিএল থেকে প্রতি এমবিবিএস ব্যান্ডউইথ ১৮০ টাকায় সরবরাহ করছি।’
মন্ত্রী বিডিরেনের চাহিদা অনুযায়ী স্বল্প দামে অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করবেন এমন আশ্বাস ব্যক্ত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনগত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিক্ষার জন্য সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়া হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন। তিনি শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন।
ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, শ্রেণিকক্ষের লেকচার ডিজিটাল কনটেন্ট হিসেবে ওয়েব সাইটে দেওয়া হবে। মিশ্র শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়নে ইউজিসি কাজ করছে বলে তিনি জানান।
ইউজিসির চেয়ারম্যান কোভিডকালে শিক্ষা ব্যবস্থা অনলাইনে চালু রাখতে বিটিসিএল’র নেটওয়ার্ক নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করায় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।