You are here
Home > জাতীয় > লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মেডেল পেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১১০ জন সদস্য

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মেডেল পেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১১০ জন সদস্য

লেবাননের বৈরুতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (বানৌজা) সংগ্রামের ১১০ জন সদস্য শান্তিরক্ষা মেডেলে ভূষিত হয়েছেন।
এ উপলক্ষে সোমবার লেবাননের বৈরুতে বানৌজা সংগ্রাম জাহাজের ব্যানকন-১২ কন্টিনজেন্টের মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড নেশনস্ ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল)’র মেরিটাইম টাস্কফোর্স (এমটিএফ) কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আন্দ্রে মুগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নৌবাহিনীর ১১০ জন কর্মকর্তা ও নাবিকদের এই মেডেল পরিয়ে দেন।
এসময় নৌবাহিনী সদর দপ্তর থেকে যাওয়া প্রতিনিধিদলের প্রধান সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশ›স) রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক, লেবানন নৌবাহিনীর উপ-প্রধান ক্যাপ্টেন আসাদ আব্দুল্লাহ, লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান ও মিশন সাপোর্টের পরিচালক মিস মেলভা ক্রসসহ অন্যান্য ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠানে এমটিএফ কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আন্দ্রেস মুগে লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত সকল নৌবাহিনীর সকল সদস্যেকে সফলভাবে মিশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি সকল নৌসদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি কার্যক্রমে স্বার্থক এবং নিবেদিতভাবে অবদান রাখার ভূয়সী প্রশংসাও করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাফল্যের ধারাবাহিকতার জন্য তিনি নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে।
বর্তমানে নিয়োজিত ‘সংগ্রাম’ যুদ্ধজাহাজ লেবাননের ভূ-খন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি উক্ত জাহাজ লেবানীজ জলসীমায় মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন পরিচালনা, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের উপর নজরদারী, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানীজ নৌবাহিনী সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ করে যাচ্ছে।
লেবাননে মোতায়েনের পর থেকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নৌসদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছে। নৌবাহিনীর এই গর্বিত অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধি করেছে।

Similar Articles

Leave a Reply

Top