You are here
Home > জাতীয় > রেলওয়ে নিয়ে রনির আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

রেলওয়ে নিয়ে রনির আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

 রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে গত ৭ জুলাই থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির আন্দোলনের বিষয়ে খোঁজ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই শিক্ষার্থীর আন্দোলন নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ বিষয়টি জানতে চেয়েছেন।
একইসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি জানে কিনা, জানলে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ সময় আদালতে দুদকের আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি অফিসে (দুদক) অবহিত করেছি। অফিস তথ্য উপাত্ত দিয়ে আমাকে জানালে আমি আদালতকে জানিয়ে দেব।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, রেলওয়ের টিকিট নিয়ে ঢাবি ছাত্র মহিউদ্দিন রনির একক আন্দোলনের বিষয়ে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের কাছে এ বিষয়টি জানতে চেয়েছেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ১৯ জুলাই রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে থেকে লংমার্চ নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন মহিউদ্দিন রনি। আর মহিউদ্দিনের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে আজ ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে শুনানির দিন ধার্য্য ছিল। রেলখাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে রনির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় সহজ ডটকমকে আজ দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এ জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ পাবেন ভুক্তভোগী। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানান।
রেলওয়ের সামগ্রিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবি নিয়ে গত ৭ জুলাই থেকে একক অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী।
তার ৬ দফা দাবিগুলো হল-সহজ ডটকম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট, টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকরণ, ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, ট্রেনের সিট সংখ্যা বা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো, একইসঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন।

Similar Articles

Leave a Reply

Top