রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সম্ভাব্য বিশ্বমন্দার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ২ জানুয়ারি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। জাতীয় সমাজসেবা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়, দেশ গড়বো সমাজসেবায়’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে তিনি দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবন্ধী, অসহায় ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা, প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষাসহ নানাবিধ সমাজসেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে ইতোমধ্যে মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় জি-টু-পি পদ্ধতিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন কৌশলগত সংস্কার কর্মসূচি বিশ্বের কাছে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আমি আশা করি, সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিগণ যেন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে সকলে সচেষ্ট থাকবেন। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সমধর্মী অন্যান্য কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নে আরো বেশি আন্তরিক ও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তিনি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।