You are here
Home > জাতীয় > মাদকের মামলায় ৫ আসামির ব্যতিক্রমী সাজা

মাদকের মামলায় ৫ আসামির ব্যতিক্রমী সাজা

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক ৫ মামলায় পাঁচ আসামিকে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড- না দিয়ে ব্যতিক্রমি সাজা দিয়েছেন আদালত।
এর মধ্যে রয়েছে-আগামি ৬ মাস পর্যন্ত সপ্তাহে একদিন ঢাকা দক্ষিণ/উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালনসহ ৫ শর্ত পালন করা নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের আদালত এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,‘৫ মামলা চার্জ শুনানির জন্য দিন ধায্য ছিল। আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থণা করেন। এরপর আদালত আসামিদের প্রচলিত সাজার পরিবর্তে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ৬ মাসের জন্য প্রবেশন মঞ্জুর করেন। তারা শর্ত না মানলে তাদের সাজাভোগ করতে হবে, তিনি আরো বলেন,বিচারের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো অপরাধীকে সংশোধন করা, একজন ব্যক্তিকে বাইরে রেখেই যদি সংশোধন করা যায়,তাহলে কারাবন্দি রাখার প্রয়োজন নেই,এ রায় একটি দৃষ্টান্ত মুলক, আশা করি মাদকাসক্ত যুবকরা এ রায় থেকে শিক্ষা নিয়ে সুপথে ফিরে আসবে।
৫ মামলার আসামিরা হলেন-বাড্ডা থানার ১৫ পিচ ইয়াবা মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম, লালবাগ থানার ১০০ গ্রাম গাজার আসামি রুবেল, মুগদা থানার ১৫ পিচ ইয়াবা মামলার আসামি হাসান, চকবাজার থানার ১৫ পিচ ইয়াবার মামলার আসামি ওমর ফারুক এবং মিরপুর থানার ৫০০ গ্রাম গাঁজার আসামি মো. শাহাবুল ইসলাম।
এরমধ্যে রফিকুল ইসলাম ও উমর ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় ২০১৯ সালে। অপর তিন আসামির মামলা চলতি বছরের।
আদেশে আদালত বলেন-আসামিদের শাস্তির পরিবর্তে সংশোধনের সুযোগ প্রদান করা সমীচীন মর্মে গণ্য হলো। আসামিদের দেশের একজন সৎ পরিশ্রমী ও আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে এবং একই অপরাধ পুনরাবৃত্তি বা অপরাধী কর্তৃক অন্যান্য অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধ কল্পে ৫ শর্তে প্রবেশন মঞ্জুর করা হলো।

শর্তগুলো হলো-১. প্রবেশনকালীন সময়ে আসামিরা কোনোরূপ অপরাধের সাথে জড়িত হবেন না,২.একই অপরাধ আর জড়াবে না,৩. ধর্মীয় আচরন বিধি পালন করবে, ৪.অসৎ ও খারাপ সংগ ত্যাগ করবে।

Similar Articles

Leave a Reply

Top