মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা গতকাল হয়নি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।
তবে এদিন মামলার বাদী নিহত তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম তাদের জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন। এই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সলিম উল্লাহ (খসরু) এ তথ্য নিশ্চত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, তিন্নির বাবা ও চাচার আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। তারা তাদের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের আবেদন করেছেন। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন বিধায় পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে কয়েক দফা পিছিয়ে যায় তিন্নি হত্যা মামলার রায়ের তারিখ।
গত ২৬ অক্টোবর রায় ঘোষণা দিন ধার্য ছিল রাষ্ট্রপক্ষ রায় স্থগিত করে পুনরায় যুক্তিতর্কের আবেদন করলে আদালত তা মন্জুর করেন এবং যুক্তিতর্ক শেষ আদালত গতকাল রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মডেল তিন্নির মরদেহ কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে পাওয়া যায়। পরদিন অজ্ঞাতপরিচয় আসামির নামে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. সফি উদ্দিন।
এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর তিন্নির মরদেহ ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় মরদেহটি মডেল কন্যা তিন্নির বলে শনাক্ত করেন। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। আর তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক।
সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকই ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও জাতীয় পার্টি সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এরপর চার্জশিটভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।