ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাক্ষাতকালে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভার্মা গণভবনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পরে পিএমওর একজন মুখপাত্র এক ব্রিফিংয়ে তাঁকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ (সরকার) কখনই সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দেয় না এবং কখনই এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয় না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বিশ্বাস করে যে সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম ও সীমানা নেই।
মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারত আলোচনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ সব অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের তাঁর দেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের বিনিয়োগ নিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মুখপাত্র ভার্মার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য তার দেশের একটি নীতি রয়েছে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ সবসময় তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশকে ভারতের ‘খুব ভালো বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এই অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে দুই প্রতিবেশী একসঙ্গে কাজ করবে।
ভার্মা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, বৈঠকে শেখ হাসিনা ও ভার্মা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সহজতর করার জন্য ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সমগ্র জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে তিনি নিজেও দেশবাসীর জন্য তার জীবন উৎসর্গ করছেন।
অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।