জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাগ্নিকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সৎ মামার বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার টাঙ্গাইলের কালিহাতীর নাগবাড়ি ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় লায়লা বেগম নামের ওই নারী সৎ মামা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তার আগে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে গাছে বাঁধা অবস্থা থেকে মুক্ত করে।
স্থানীয়রা জানান, বসতবাড়ি নিয়ে লায়লার সঙ্গে তার মামা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোশারফ হোসেনের বিরোধ রয়েছে। আজ দুপুরে মোশারফের মা বিবদমান বাড়িতে কাঠাল পাড়তে গেলে লায়লা বাঁধা দেন। পরে মোশারফ, তার স্ত্রী ও বড় বোন সেখানে গেলে লায়লার সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। তারা এক পর্যায়ে লায়লাকে চুল ধরে টেনে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে চলে যান।
এ বিষয়ে লায়লা বলেন, ‘আমার নানা কুরবান আলী তার প্রথম পক্ষের সন্তানদের জমি-জমা থেকে বঞ্চিত করে সব কিছু আমার সৎ মামা মোশারফ হোসেনকে লিখে দেন। পরে ভাগ্নি হিসেবে আমাকে তারা এই বাড়িটি দেবেন বলে থাকতে দেন। এখন তারা বাড়িটা আমাকে দিচ্ছেন না। আমার স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে এর আগেও মোশারফ আমার শ্লীলতাহানি করেছে এবং আজ আমাকে মারপিট করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।’
এ বিষয়ে মোশারফ বলেন, ‘আমার বাবা কুরবান আলী ওই ভিটায় নাতনি লায়লাকে থাকতে দেন। ৫ শতাংশ জমি লায়লাকে দেওয়ার পরও ওই বাড়ি লিখে দিতে চাপ দিয়ে সে নানা অশান্তি করেই যাচ্ছে। আজ সকালে আমার মা কাঠাল পাড়তে গেলে সে বাধা দিলে তাকে বেঁধে রেখে আমরা চলে আসি।’
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ওই নারী এবং তার মামার পরিবারের সঙ্গে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ এবং মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে। তাকে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মুক্ত করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তার অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।