You are here
Home > জাতীয় > বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ নভেম্বর ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষ হলে রায়ের জন্য আগামী ২৮ নভেম্বর ধার্য  করেছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে, এ দাবি করে তাদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী মুনজুরুল আলম মন্জু বলছেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।তাই তারা খালাস পাবেন।’

শুনানিকালে ২২ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির পর তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই মামলায় ৩ আসামি পলাতক রয়েছে তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তফা রাফিদ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানাযায়, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

একই বছরের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আটজন আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এ মামলায় ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। গত ১৪ মার্চ এ মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে। অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ শুনানি করতে পারেনি। এরপর কয়েকজন আসামি নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর মামলায় কিছু ত্রুটি থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ পুনরায় চার্জ গঠনের আবেদন করে। ৮ সেপ্টেম্বর আদালত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় চার্জ গঠন করেন। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে গ্রেফতারকৃত সকল আসামি আবারও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

Similar Articles

Leave a Reply

Top