You are here
Home > জাতীয় > বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘টেকনোলজি পাইওনিয়ার’ সম্মাননা পেলো প্রাভা হেলথ

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘টেকনোলজি পাইওনিয়ার’ সম্মাননা পেলো প্রাভা হেলথ

গত ১৫ই জুন  প্রচলিত এবং প্রযুক্তিগত সেবার সমন্বয়ে স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখার জন্য প্রাভা হেলথকে ‘টেকনোলজি পাইওনিয়ার’ হিসেবে সম্মাননা জানিয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ।  

আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটির মতে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে প্রাভা যে উদ্ভাবনী পরিচয় দিয়েছে তা বৈশ্বিকভাবে সেবা প্রদানে ‘অনুকরণীয়’ বলে প্রাভা হেলথের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

২০১৮ সালে শুরু করে প্রতি বছর প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে এখন পর্যন্ত ২ লক্ষ রোগীদের সেবা প্রদান করেছে প্রাভা যার প্রযুক্তি ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা মডেল উদীয়মান অর্থনীতিগুলোতে সম্প্রসারণ করা সম্ভব যেখানে বিশ্ব জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশের বসবাস।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘টেকনোলজি পাইওনিয়ার’ স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাথমিক প্রবৃদ্ধি থাকা অবস্থায় নিজ অঞ্চলে উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমাজ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভুমিকা রাখে। ২০০২ সালে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল এই স্বীকৃতি অর্জন করেছিলো। তার পর থেকে টেকনোলজি পাইওনিয়ার স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রোটেয়াস ডিজিটাল হেলথ (২০০৯), টুইটার (২০১০), স্পটিফাই (২০১১), কিক স্টাটাস (২০১২), ড্রপ বক্স (২০১২) এবং এয়ারবিএনবি (২০১৪) উল্লেখযোগ্য।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল ইনোভেটর কমিউনিটির প্রধান সুনসান নেসবিট বলেন, আমাদের ২০২১ সালের ‘টেকনলোজি পাইওনিয়ার’ হিসেবে প্রাভা হেলথকে স্বাগতম জানাতে পেরে আনন্দিত।  

তিনি বলেন, প্রাভা এবং তার আগের পাইওনিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার সমাধান করেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের স্বপ্ন হিসেবে আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্য দেখতে চাই বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নে।  

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের টেকনোলজি পাইওনিয়ার হিসেবে সম্মাননাকে ‘ওয়ান্ডারফুল’ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রাভা হেলথের প্রধান নির্বাহী সিলভানা সিনহা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রোগীদের জন্য ব্রিক এন্ড ক্লিক মডেলে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীদের অভিজ্ঞতা, সেবায় প্রবেশগম্যতা এবং রোগ নির্ণয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রযুক্তি কখনও চিকিৎসকের বিকল্প হবে না। কিন্তু এটি রোগীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে।

প্রথমবারের মত ইকোনমিক ফোরামের তালিকায় ৩০ শতাংশ উদ্যোগের নেতৃত্বে নারীরা। প্রাভা হেলথেও  প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী একজন নারী এবং নির্বাহী পদের প্রথম পাঁচ জনের তিনজন নারী।  

একবছরে বাছাইয়ে সিলিকন ভ্যালি থেকে বহুদূরের ২৬ টি দেশ থেকে উদ্যোগ অংশ নেয় এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। প্রথমবারের মত প্রতিনিধিত্ব আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া এবং জিম্বাবুয়ে থেকে।

প্রতিষ্ঠানগুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে নিজ নিজ দেশে । ২০২১ এর টেক পাইওনিয়ার কোম্পানিগুলো এআই, আইওটি, রোবটিক্স, ব্লক চেইন, বায়ো টেকনোলজির মত নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন তারা। স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ভাবন, সামাজিক প্রভাব, নেতৃত্ব এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিভিন্ন উদ্যোগ – কোভিড অ্যাকশান প্লাটফর্ম, সেন্টার ফর সাইবার সিকিউরিটি এবং শেপিং দ্য ফিউচার অব হেলথ এন্ড হেলথ কেয়ার – এর সাথে সামঞ্জস্যতা বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে টেকনোলজি পাইওনিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো।

নিজ দেশের সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বেশ ভালো প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা জাগিয়েছে প্রাভা। বিশ্বে ঘনবসতি পূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অষ্ঠম অবস্থানে আছে। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের জনবসতির ঘনত্ব প্রায় তিনগুন। ২০৩০ এর মধ্যে বিশ্বের প্রথম ত্রিশটি অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ, যার জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২০ সালে ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিলো।

বাংলাদেশের স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবায় এখনও অনেক ঝুঁকি রয়েছে। এখানে রোগী প্রতি চিকিৎসকের গড় সময় ৪৮ সেকেন্ড। রোগ নির্ণয়ের জন্য এদেশে মাত্র একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত গবেষনাগার রয়েছে, পাশাপাশি নকল পণ্যের উপস্থিতি ঔষধের বাজারকেও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। অনেক স্বল্পোন্নত দেশের মত বাংলাদেশেও অনেক মানুষ এখন মারা যায় বিনা চিকিৎসায়।

Similar Articles

Leave a Reply

Top