You are here
Home > জাতীয় > বিজমায়েস্ট্রোজের ১২তম আসর শুরু করলো ইউনিলিভার

বিজমায়েস্ট্রোজের ১২তম আসর শুরু করলো ইউনিলিভার

দেশের তরুণদের মধ্যে নেতৃত্ব, সৃজনশীলতা ও ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এর ব্যবসা বিষয়ক প্রতিযোগিতা “বিজমায়েস্ট্রোজ ২০২১”।   

প্রতিযোগিতার ১২তম এই আসর উপলক্ষ্যে আজ রোববার (১৭ অক্টোবর) একটি অফিশিয়াল নিবন্ধন  ওয়েবসাইট (https://bizmaestros.site) চালু করেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ । প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই ওয়েবসাইটিতে ঢুকে নিজেদের ‘বিজনেস কেস’ টি মূল্যায়নের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। গত ১১ বছরের গৌরবোজ্জ্বল অভিযাত্রায় ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরকে ‘বাস্তবমুখী কর্পোরেট চ্যালেঞ্জের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা’ এবং বিভিন্ন আকস্মিক পরিস্থিতি মোকাবেলার হাতেখড়ি দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ের আলোকে এবং বাস্তবমুখী প্রেক্ষাপটে এবছর ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ এর থিম রাখা হয়েছে- “নেভিগেটিং ইন দ্য নিউ নরমাল”।

দেশের অন্যতম শীর্ষ ভোগ্য ও নিত্যব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান- ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড “জয়েন দ্য লিগ অব ফিউচার লিডারস”- এই আহ্বানে রেখে প্রাতিষ্ঠানিক  প্রশিক্ষণ, যুগোপযোগী পরামর্শ ও বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা দেয়ার  মাধ্যমে তরুণদেরকে আগামীর দিনে নেতৃত্ব প্রদানের যোগ্য করে গড়ে তুলতে দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং কাজ করে যাচ্ছে।

এ বছর প্রতিযোগিতার প্রথমপর্বে সরাসরি ৬০০ এর বেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ আশা করছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। গতবছর ‘বিজমায়েস্ট্রোজ ২০২০’ প্রতিযোগিতায় প্রথমপর্বে চার শ’র বেশি শিক্ষার্থীর ১৪৫টি দল অংশ গ্রহণ করেছিলো। বৈচিত্র্যময় ও সৃজনশীল প্রতিভার সন্ধান পেতে গতবার ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ। 

করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ‘নতুন স্বাভাবিক’ সময়ে ভোক্তাদের পরিবর্তিত চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইউনিলিভারের উদ্দেশ্য-চালিত ব্র্যান্ডগুলো কিভাবে তাদের সামাজিক ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোক্তাদের আস্থা ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে, সেটির সৃজনশীল সমাধানের ওপরেই ‘বিজমায়েস্ট্রোজ ২০২১’ এর প্রথম রাউন্ডে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিটি দল ব্যবসায়িক কেসগুলোর ওপর তাদের নিজ নিজ ‘সমাধান’ জমা দিবে। দ্বিতীয় রাউন্ডে মূলত: প্রতিযোগী দলগুলোর সরাসরি উপস্থাপনা মূল্যায়ন করা হবে, যেখানে প্রথম রাউন্ডে উত্তীর্ণ ৩০টি দল ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বিচারকদের সামনে তাদের নিজ নিজ সমাধান তুলে ধরবে। এই পর্যায়ে তারা ‘মেন্টরিং’ ও  ‘লার্নিং’ সেশনের সহায়তা পাবে। দুইটি ভার্চ্যুয়াল রাউন্ড শেষ হবার পর যথাযথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিযোগিতার শেষ রাউন্ডটি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে চূড়ান্ত বিজয়ী হবার লক্ষ্যে শীর্ষ ছয়টি দল একে অন্যের মুখোমুখি হবে। এক্ষেত্রে বিচারক হিসেবে তারা পাবে দেশের শীর্ষ কর্পোরেট শীর্ষস্থানীয়দের।  

প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্বে বিচারকমণ্ডলী হিসেবে যারা থাকবেন, তারা সবাই-ই বর্তমান সময়ের খ্যাতনামা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বিচারকরা হলেন- বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এবং ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএসএম মিনহাজ। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সুক্ষ্ম বিচার-বিশ্লেষণ শেষে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিজমায়েস্ট্রোজ ২০২১’ এর চূড়ান্ত বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করবেন।

প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ীরা প্রতিবছর যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ইউনিলিভার এর বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম ‘ফিউচার লিডারস লিগ (এফএলএল) ২০২২’ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার অসাধারণ এক সুযোগ পাবেন। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত ইউনিলিভারের এই ধরনের ‘জাতীয় প্রতিযোগিতা’য় বিজয়ী দলগুলো ‘গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নশিপ’ এর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে  থাকে। বিজয়ীরা ইউনিলিভার এর ফ্ল্যাগশিপ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম- “ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস প্রোগ্রাম” (ইউএফএলপি) এ নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার পাবে।

প্রতিযোগিতার শীর্ষ তিন দলকে ইউনিলিভার লিডারশিপ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের (ইউএলআইপি) আওতায় ইন্টার্ন করার সুযোগ করে দেয়া হবে। এছাড়া প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ হবার পর থেকে যারা ভালো ফলাফল অর্জন করেছে, তারাও ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর ভবিষ্যত নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘ট্যালেন্ট পাইপলাইন’ এ অন্তর্ভুক্ত থেকে অগ্রাধিকার পাবে। 

এ প্রসঙ্গে ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক সাকশী হান্ডা বলেন, “শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ হলো অনন্য একটি সুযোগ, যেখানে তারা বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা, ব্যবসায় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শীর্ষ কর্পোরেট নেতাদের কাছ থেকে মানসম্পন্ন দিক নির্দেশনা, পরামর্শ এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশে যোগদানের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে থাকে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অতীতে আমরা অসাধারণ কিছু তরুণ মেধাবীর সন্ধান পেয়েছি এবং তাদেরকে ভবিষ্যতের যোগ্য কর্পোরেট নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষার্থীরা এই বছরের চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে সমাধান করে- তা দেখার জন্যই আমি অত্যন্ত উদগ্রীব হয়ে আছি।” করোনা মহামারির সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়েছে এবং কর্পোরেট বিশ্বে নিজেদের কাজের ক্ষেত্র তৈরি এবং যুক্ত হওয়ার সুযোগ থেকে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরকে সহায়তা করার লক্ষ্যে করোনা মহামারির শুরু থেকেই বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ক্যাম্পাসভিত্তিক নানান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সংযোগ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ধারাবাহিক সেশনগুলোর মাধ্যমে ইউনিলিভার ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে শেখার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

Similar Articles

Leave a Reply

Top