You are here
Home > জাতীয় > বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ২ জনের মৃত্যু

বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ২ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামের সীতাকু-ের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহতদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। 
রোববার (১২ জুন) দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল পার্কভিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল কাদের (২২) নামের একজন মারা যান। এরআগে ভোররাত তিনটায় ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ জনে।
চট্টগ্রামে পার্কভিউ হাসপাতালে নিহত নুরুল কাদের বিএম কনটেইনার ডিপোতে গাড়ির মেকানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাঁশখালীর পূর্ব চেচুরিয়ার একেএম ফাইজুর রহমান চৌধুরীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম। 
তিনি বলেন, রোববার দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল কাদের নামের আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনে তার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। সকাল থেকে তার কন্ডিশন ভালো ছিল না। তাকে লাইফ সাপোর্টও দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, একই দিন ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন গাউসুল আজম নামের ফায়ার সার্ভিসের আরও এক কর্মী। তিনি ফায়ার ফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস, এম, আইউব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাউসুলের শরীরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সঙ্গে তাঁর শ্বাসনালি পুড়ে গিয়েছিল। চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঘটনার পরদিন তাকেসহ ৭ জনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ওই দিনই তাকে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। পরবর্তীতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে দেওয়া হয় লাইফ সাপোর্ট। মাঝে কিছুটা উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু সর্বশেষ তাঁর অবস্থার আবার অবনতি হলে তাকে আবারও লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। 
গাউসুলের ফুপাতো ভাই কোরবান আলী জানান, তাদের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় খাইটুয়াডাঙা গ্রামে। ২০১৮ সালে ফায়ার ফাইটার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করে সে। মাত্র দুই বছর আগে বিয়ে করেছে সে। স্ত্রী কাকলী আক্তার। সিয়াম নামে ৬ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তাঁর। দুই ভাইবোনের মধ্যে গাউসুল ছিল ছোট। 
সীতাকু- ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন তিনি। সেদিন আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমেই তারা ছুটে যায় আগুন নেভাতে। সেখানেই বিস্ফোরণে দগ্ধ হন গাউসুল আজম। 
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলার কাশেম জুট মিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। এ সময়ই সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়।
 

Similar Articles

Leave a Reply

Top