সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের দুদুকের মামলার দুই ধারায় লুৎফুজ্জামান বাবরের ৮ বছর কারাদণ্ডসহ ৬,৭৯,৪৯,২১৮ টাকা রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করেছে আদালত। এছাড়া তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আর ৩ মাস সাজা ভোগ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এক ধারায় তিন বছর এবং আরেক ধারায় ৫ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে । তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে, সে হিসেবে বাবরকে ৫ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন মোশাররফ হোসেন কাজল এরপর বাবরের পক্ষে তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ১২ অক্টোন্বর রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।
রায়ের সময় বাবর আদালতে উপস্হিত ছিল পরে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া সময় লুৎফুজ্জামান বাবরের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন, আপিল করবেন কি না? জবাবে বলেন, অবশ্যই আপিল করব। আমি কোনো অপরাধ করিনি। তারপরও সাজা হয়েছে তাই উচ্চ আদালত যাব।
২০০৭ সালের ২৮ মে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া পর থেকে সে কারাগারে আছে ।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর লুৎফুজ্জামান বাবর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান ।
২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় এ আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দুইটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়। একই বছরের ১২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।রাষ্ট্র রায়ে সন্তুষ্ট হলে আসামি পক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।