You are here
Home > জাতীয় > বানভাসীদের স্বাস্থ্যসেবায় ২শ’ মেডিকেল টিম কাজ করছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বানভাসীদের স্বাস্থ্যসেবায় ২শ’ মেডিকেল টিম কাজ করছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের ১১ জেলায় বানভাসীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২শ মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যায় আক্রান্ত জেলাগুলোতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য ২০০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। আরও আমাদের চার হাজার মেডিকেল প্রস্তুত রয়েছে। 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী দুইদিনব্যাপী এসটিএইচ সামিট ২০২২ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, সিলেট অঞ্চলের সব পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশ থাকলেও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন, ওষুধ ও সাধ্য অনুযায়ী খাদ্য পাঠানো হচ্ছে। 
তিনি বলেন, সিলেটসহ কয়েকটি জেলা ব্যাপক বন্যার কবলে পড়েছে। কিছু কম আর কিছু বেশি। বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এজন্য ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবেও করা হয়েছে। আমাদের ডাক্তার নার্সসহ অন্যরাও সেবা দিচ্ছে। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কাজগুলো করা হচ্ছে। 
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের মধ্যে যারা যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন তাদের খাবার ও জরুরি অন্যান্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমএ মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরি, স্বাচিপ সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান, সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।
সামিটে কি নোট উপস্থাপন করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কৃমি রোগ আমরা প্রায় নির্মুল করতে সক্ষম হয়েছি। ৮০ শতাংশ থেকে কৃমি রোগ এখন ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমেছে। আগে পরীক্ষা করলে ৮০ শতাংশ কৃমি রোগ পাওয়া যেতে। এখন সেটি ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এর জন্য মাল্টি সেক্টর কাজ করেছে। যেকারণে আমরা সফল হতে পেরেছি। 

Similar Articles

Leave a Reply

Top