বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ “কমওয়ার্ড: কমিউনিকেশন ইন ক্রিয়েটিভ এক্সেলেন্স”, একটি গ্র্যান্ড ভার্চুয়াল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার ১০ম সংস্করণে গত ২৮শে আগস্ট বাংলাদেশের ক্রিয়েটিভ ক্যাম্পেইনগুলোকে সম্মাননা প্রদান করেছে। অ্যাওয়ার্ডের উদ্যোগটি ডেইলি স্টার এবং কানস লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভাল অব ক্রিয়েটিভিটি -এর সহযোগিতায় আয়োজিত হয়েছে ।
অনুষ্ঠানটিতে ১০০০ এরও বেশি মার্কেটিং এবং কমিউনিকেশন উৎসাহীরা উপস্থিত ছিলেন। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ব্রোঞ্জ, সিলভার, গোল্ড এবং গ্র্যান্ড প্রি- এই চারটি র্যাঙ্কে ২৬টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
এই বছর, সম্মাননার জন্য ১১০০ এরও বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। ১লা মে, ২০১৯ থেকে ৩১শে মে, ২০২১ সময়কালে পরিচালিত ক্যাম্পেইনগুলি কমওয়ার্ড ২০২১ -এ মনোনয়নের জন্য উপযোগী ছিল। বিচারকদের কঠোর বিচারের পর ১১০০ এরও অধিক মনোনয়নের মধ্যে ৫৭৩ টি কাজ প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছিল যার মধ্যে ২২৬ টি কাজ চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়। ১৫৮ জন বিচারককে ১০ টি শর্টলিস্টিং জুরি প্যানেল এবং ১০ টি গ্র্যান্ড জুরি প্যানেলে বিভক্ত করা হয়েছিল। যথাযথ র্যাঙ্ক নিশ্চিত করার জন্য ৪ জন জুরি প্রেসিডেন্ট বিজয়ী কাজগুলকে পরবর্তীতে আরও যাচাই করেছেন।
তীব্র প্রতিযোগিতার পর, মোট ২২৬টি ক্যাম্পেইন কমওয়ার্ড সম্মাননা অর্জন করে। এর মধ্যে ক্যাম্পেইনগুলো ৩টি গ্র্যান্ড প্রি, ২৬ টি স্বর্ণ, ৬৯ টি রৌপ্য এবং ১২৮ টি ব্রোঞ্জ বিজয়ী সম্মাননা অর্জন করে।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে মিস নাজিয়া আন্দালিব প্রীমা, ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট, পরিচালক, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এবং প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম বলেন, “স্পষ্ট ও কার্যকর কমিউনিকেশনের প্রয়োজনীয়তা গত এক বছরে আমরা যতটা অনুভব করেছি তা এর আগে কখনো অনুভব করিনি এবং তারপর থেকে আমরা যে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করছি তা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এবং এই মহামারী থেকে বেরিয়ে আসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াতে কার্যকর কমিউনিকেশনের প্রয়োজন অনেক”।
এশিয়াটিক এমসিএল -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফেরদৌস হাসান নেভিল; সারা আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এফসিবি বিটোপি; গ্রে গ্রুপ বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার ও কান্ট্রি হেড সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন এবং গ্রুপ এম বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোরশেদ আলম এবার কমওয়ার্ড ২০২১ এর সম্মানিত জুরি প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১০ম কমওয়ার্ডের আগে গত ২৭ ও ২৮ আগস্ট ১০ম কমিউনিকেশন সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে যার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘মেটামরফোসিস অফ ক্রিয়েটিভিটি’।
১০ম কমিউনিকেশন সামিটের সহযোগিতায় ছিল আলেশা হোল্ডিংস লিঃ। এই বছর কমিউনিকেশন সামিটে ৫০০ জনেরও বেশি উপস্থিত ছিলেন। শীর্ষ সম্মেলনটিতে এবার ছিল ৩ টি কী-নোট সেশন, ৬ টি প্যানেল ডিসকাশন, ৩ টি ইনসাইট সেশন এবং ১টি কেস স্টাডি প্রেজেন্টেশন যা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যোগদানকারী বক্তাদের কৌশল ও অভিজ্ঞতা – যা তাদের ক্রমাগত পরিবর্তিত যোগাযোগের সীমানায় উন্নতি করতে সাহায্য করেছে তা ভাগ করে নেয়া হয় দর্শকদের সাথে। তার পাশাপাশি, স্থানীয় শিল্প বিশেষজ্ঞরা ছিলেন যারা অসংখ্য বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এই বছরের সামিটের তিন প্রধান বক্তা হলেন- দাগমারা সুলস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইএএ গ্লোবাল; মারি ক্লেয়ার মালাউফ, এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, ইমপ্যাক্ট বিবিডিও, সংযুক্ত আরব আমিরাত; কিঙ্গা ইঞ্জা, প্রতিষ্ঠাতা হোয়াইটরিপোর্ট এন্ড মিডিয়াস্পেস.গ্লোবাল।
কমওয়ার্ড বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ, উদ্যোগটি ডেইলি স্টারের এবং কানস লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভাল অব ক্রিয়েটিভিটি -এর সহযোগিতায় আয়োজিত। উদ্যোগটির স্ট্রাটেজিক পার্টনার বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম, রোয়ারিং লায়ন্স এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভারটাইজিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ; নলেজ পার্টনার – মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এমএসবি); টেকনোলজি পার্টনার – আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড; অনলাইন মিডিয়া পার্টনার – চ্যানেল আই অনলাইন এবং পিআর পার্টনার – ব্যাকপেইজ পিআর।