You are here
Home > জাতীয় > বন্ধ করা হয়েছে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন

বন্ধ করা হয়েছে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন

নানারকম অনিয়মের কারণে নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ৪৩ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত

বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এ আগে দুপুর পর্যন্ত মোট ৫১টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ নানা অনিয়মের কারণে বন্ধ করা হয়। এ উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্র।

সকালে সিসি ক্যামেরায় ভোটের পরিস্থিতি দেখে সিইসি বলেছিলেন, ’ভোট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমরা স্বচক্ষে গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে দেখেছি। তাই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে।

এর আগে আজ সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিরতিহীনভাবে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলার কথা ছিলো।

জানা গেছে, নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ভোটের মাঠে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ৫টি সাদা পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছেন। একইসাথে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এছাড়া ১ হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে সবগুলো ভোটকেন্দ্র।

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।

এ উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো।

আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।

উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করা হয়।

Similar Articles

Leave a Reply

Top