স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কারাবন্দিদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে কারাগারকে যুগোপযোগী করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার ৬০তম ব্যাচের কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, কারাবন্দিদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে দেশ-বিদেশের শ্রম বাজারের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কারাবন্দিদের সংশোধনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে কারা আইনকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারাগার ও সংশোধনমূলক পরিষেবা আইন-২০২১ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তর করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কারাগারে আটক বন্দিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশের শ্রম বাজারের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের ৩৮টি কারাগারে যুগোপযোগী ৩৯টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারাগারকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। কারাগারে আটক কয়েদি বন্দিদের শ্রমে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর বিক্রয় লব্ধ অর্থ থেকে ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ বন্দিদের মজুরি হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। যা বন্দিরা তাদের পরিবারের কাছে পাঠাতে পারছেন।
তিনি বলেন, কারাগারের বন্দি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি, জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মেয়াদী আটটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং আরও কয়েকটি নতুন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাগার একটি সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান হওয়ায় দায়িত্বশীল মনোভাব নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হয়। কারাগারের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি বন্দিদের প্রতি মানবিক আচরণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপরাধীদের চরিত্র সংশোধন করে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, কারাগারে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৩২টি কারাগারে বিভিন্ন নিরাপত্তাসামগ্রী সরবরাহ ও স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারাগারে নিরাপত্তাসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, কারা আবহাওয়া পরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক, ঢাকা বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক এ কে এম ফজলুল হক, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম, হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।