You are here
Home > জাতীয় > বগুড়ায় ভূমি দস্যূতার শিকার সংখ্যালঘু পরিবার

বগুড়ায় ভূমি দস্যূতার শিকার সংখ্যালঘু পরিবার

বংশ পর্যায়ক্রমে পাঁচ পুরুষ ধরে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন বগুড়া জেলার সদর থানার বাসিন্দা রামায়ণ কৈরী। তার বয়স এখন প্রায় ৯০ বছর। বৃদ্ধা স্ত্রী নিয়ে তিনি এখানেই থাকেন। সম্প্রতি তিনি বগুড়ার স্থানীয় এক ভূমি দস্যূর রোষানলে পড়েছেন। নিজের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমির সব ধরনের দলিল ও কাগজ থাকার পরও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এবং ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে টাকা দিয়ে বৃদ্ধ রামায়ণ কৈরী ও তার পরিবারকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে নানাভাবে হয়ারানি করে আসছে সুদিপ্ত সুলতান।

রামায়ণ কৈরী অভিযোগ করেন, বগুড়া জেলার সদর থানা মৌজার সুত্রাপুর জে এল নং ৮২, সিএস নম্বর ১০১৬, এমর আর নম্বর ১৪২৫, বুজরুক ১৭৭০, ১৭৭১ হোল্ডিং ১৫১৬/১৫১৭।

দাগ নস্বর ৭৯৪/১৫৯৭ রখম-বাড়ী, পরিমাণ ০৪৭৫, সহ কাত ০৪২৪সহ বর্ণিত তফসিল সম্পতি, আমাদের বসত বাড়ী। উক্ত বাড়ীতে বংশ পর্যায়ে আমরা সিএস, এমআর, আর রেকর্ড মূলে ২য় সহকারী আদালতের ডিগ্রি মূলে খাজনা পরিশোধ করে বসবাস করে আসছি। কিন্তু সুদীপ্ত সুলতান ১৯৫০ সালের ভূয়া আম মোক্তার নামার বলে বগুড়ার তৎকালীন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ঘুষ খাইয়ে খারিজ বাতিল করেছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমরা সংখ্যালঘু হওয়ায় এবং আমার কোনো পুত্র সন্তান না থাকার কারণে তিনি নানাভাবে আমাকে হয়রানি করছেন। সম্প্রতি ভুক্তভোগী পরিবার বগুড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর কার্যালয়ের বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন।

আপিল কেস নম্বর ‘৩২(১৩)২০_২১.বগুড়া জেলা। আপিল্যানট রামায়ণ কৈরী। রেসপনডেনস সুদীপ্ত সুলতান।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়ার  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এটা নিয়ে আমি কোন মন্ত্রব্য করবো না। তবে ভুক্তভোগী কোন ধরনের হুমকির সম্মুখীন হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

উল্লেখ্য, সুদীপ্ত সুলতানের সামাজিক মাধ্যম সরকার বিরোধী নানা আপত্তিকর পোস্ট করেছেন। এছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিদের পক্ষে ফেসবুকে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।

Similar Articles

Leave a Reply

Top