You are here
Home > জাতীয় > পরীমনির ২য় ও ৩য় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

পরীমনির ২য় ও ৩য় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

হাইকোর্ট ঢালিউড চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ২য় ও ৩য় দফা রিমান্ডে নেয়া নিয়ে যৌক্তিক ব্যাখা চেয়েছেন । দশ দিনের মধ্যে দুই বিচারককে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এবং হাইকোর্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলার যাবতীয় কাগজপত্রসহ হাজির হতে বলেছেন। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২ আগস্ট, বৃহস্পতিবার এ আদেশ দিয়েছেন।

২৯ আগস্ট, রোববার আইন ও সালিশ কেন্দ্র, পরীমনিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে । আবেদনটি দায়ের করেছেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন।

পরে সুপ্রিম কোর্টের রায় না মেনে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টিকে ‘সভ্য সমাজে এভাবে চলতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানিকালে ১ সেপ্টেম্বর, বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, মো. মুজিবুর রহমান, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।

অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না আদালতকে বলেন, ‘আমরা এ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্ট আদালতে দাখিল করেছি। এখানে যেসব নির্দেশনা আছে সেসব নির্দেশনা নিম্ন আদালতকে মেনে চলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের মামলা ছাড়া সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা মেনে চলা হয় না।’

এ সময় আদালত বলেন, ‘এই মুহূর্তে জামিন তো হয়ে গেছে। রুলটি শুনানির জন্য অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। আর রিমান্ড বিষয়ে গাইডলাইন তো আছেই। কিন্তু কেউ মানছে না।’

অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এটিই একটি আদেশ দেন যেন গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়।’ এরপর পরীমনিকে তিন দফায় কতদিন করে রিমান্ড নেওয়া হয়, সে বিষয়ে আদালতকে জানান অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।

শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘রিমান্ড বিষয়ে আমরা গাউডলাইন দিতে চাই। কোন কোর্ট কত দিনের মধ্যে আবেদনের শুনানি করবেন, সে বিষয়ে। তবে জামিনের বিষয়টি অনুপযুক্ত হয়ে গেছে।’

আদালত বলেন, ‘ওই রিমান্ডের বিষয়ে আমরা নথি তলব করতে চাচ্ছি। তাদের (নিম্ন আদালত) কাছে কী তথ্য-উপাত্ত ছিল যে তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হলো। আমরা তদন্ত কর্মকর্তা ও কেস ডকেটসহ তলব করব। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটদের সামনে কী তথ্য-উপাত্ত ছিল তাও চাইব (তলব)।’

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান আদালতকে বলেন, ‘কিন্তু সে (পরীমনি) তো এখন রিমান্ডে নেই।’ জবাবে আদালত বলেন, ‘তার (বিচারিক আদালত) কাছে কোনো তথ্য-উপাত্ত ছাড়াও তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ডের আবেদন করল, আপনি (বিচারিক আদালত) মঞ্জুর করে দিলেন। এগুলো তো কোনো সভ্য সমাজে হতে পারে না, ঘটতে পারে না।’

Similar Articles

Leave a Reply

Top