![](https://bangla.thenewstimesbd.com/wordpress/wp-content/uploads/2021/10/02-4.jpg)
পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, কোভিড- ১৯ এর মতো মরণঘাতি ভাইরাসজনিত রোগসমূহ প্রতিরোধে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলসমূহ সংরক্ষণ এবং বনপ্রাণী ধরা, মারা ও শিকার বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বিচারে বন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে মানুষ বন্যপ্রাণীর মধ্যে চলাফেরা ও বসবাসের দুরত্ব কমে যাওয়ায় এ ধরনের মরণব্যাধির বিস্তার লাভ করছে।
পরিবেশমন্ত্রী আজ শুক্রবার “বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির ২২তম জাতীয় সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারি অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিন আহমেদ, প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, এসিআই এগ্রিবিজনেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. এফ এইচ আনসারী প্রমুখ।
বনমন্ত্রী বলেন, বন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে রেবিস, ইবোলা, নিপাভাইরাস, সোয়ান ফ্লু, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ও কোভিড-১৯ এর মতো অনেক জুনোটিক ব্যাধি মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে। তিনি বলেন, প্রাণিবিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় নিবেদিতভাবে কাজ করছে। বনবিভাগের সহায়তায় আইইডিসিআর কাঁচা খেজুরের রসের মাধ্যমে রোগ ছড়ানো বিষয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে আসছেন। একই সাথে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির ফলে খেজুরের রস থেকে ছড়ানো রোগ বিস্তার হ্রাস পেয়েছে।