প্রযোজককে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে পরিচালক সুজনকে রিমান্ডে ও মডেল নাদিয়া কারগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা পরিচালক সুজন বড়ুয়া ও মডেল নাদিয়া পিয়াকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অপর দিকে আসামি পক্ষ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে পরিচালক সুজন বড়ুয়াকে এক দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন এবং মডেল নাদিয়া পিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৭ জুন রাজধানীর বাড্ডা থেকে মডেল নাদিয়া ও পরিচালক সুজনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ডিভাইসে ব্ল্যাকমেইল করা আইডি এবং ভিডিও উদ্ধার করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে যানাযায়, বেশ কিছুদিন আগে সুজন বড়ুয়া (৪৩) উঠতি মডেল নাদিয়া প্রিয়াকে (২১) প্রযোজকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। পরিচয়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রযোজক ও নাদিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু নাদিয়া কৌশলে প্রযোজক ও নিজের কিছু অন্তর্নগন্ন গোপন ভিডিও ধারণ করে। এর মাসখানেক পর একটি ফেসবুক আইডি থেকে ওই ভিডিও দেখিয়ে ৬০ লাখ টাকা ও ফ্ল্যাট দাবি করে প্রযোজককে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু হয়। পরে ওই প্রযোজকের অভিযোগের ভিত্তিতে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের সিনিয়র এসি ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপের নেতৃত্বে একটি দল দুজনকে গ্রেফতার করে।এ ব্যাপারে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা হয়েছে।