প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদ্মা সেতুর দুই পারে দুটি থানা- পদ্মা সেতু উত্তর ও দক্ষিণ থানার পাশাপাশি, আরো কিছু উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। তিনি তাঁর সরকারী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করে নবনির্মিত ১২টি জেলা পুলিশ হাসপাতাল, ছয়টি মহিলা ব্যারাক এবং অনলাইন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) কার্যক্রম উদ্বোধনের পাশাপাশি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের কাছে পুলিশের দ্বারা নির্মিত আরও ১২০টি বাড়ি হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উত্তর এবং শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতু দক্ষিণ নামে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন দুটি থানার উদ্বোধন করেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ সারাদেশে গৃহহীন মানুষের জন্য নিজস্ব অর্থে মোট ৫২০টি বাড়ি নির্মাণ করেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরের ১০ এপ্রিল গৃহহীনদের হাতে বাংলাদেশ পুলিশ নির্মিত ৪শ’টি বাড়ি হস্তান্তর করেন। আজ দ্বিতীয় পর্যায়ে গৃহহীনদের জন্য নির্মিত আরো ১২০টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের এই অনুষ্ঠানে গণভবনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পদ্মা সেতু উত্তর থানা, মুন্সীগঞ্জ, মহিলা পুলিশ বরাক প্রান্ত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি), খুলনা, ময়মনসিংহ পুলিশ হাসপাতাল এবং পিরোজপুর জেলার পুলিশ লাইন প্রান্ত যুক্ত ছিল।
অনুষ্ঠানে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শিত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।