![](https://bangla.thenewstimesbd.com/wordpress/wp-content/uploads/2022/06/ভেজাল-ওষুধে-মৃত্যু-১০৪-শিশুর-পরিবারকে-১৫-লাখ-টাকা-করে-দিতে-হাইকোর্ট-রায়.jpg)
নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিতের ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। আদেশে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্ট রুলসহ এ আদেশ দেয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার অনিজ আর হক আদালতের আদেশের বিষয়টি আজ বাসস’কে জানান।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী অনীক আর হক।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
শিক্ষককের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গত ৪ জুলাই রিটটি করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজকে এ আদেশ দেয়।
গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে রাহুল দেব নামে একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্র ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী নুপূর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র তৈরী হয়। শিক্ষক স্বপন কুমার ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন বলেন অভিযোগ তুলে এ সময় বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসসহ অভিযুক্ত ছাত্রকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
সেই ঘটনার পর থেকেই বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। কয়েকবার প্রস্তুতি নিয়েও পিছিয়ে গেছে খোলার তারিখ। কবে শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি। অন্যদিকে আতঙ্কে এখনও আত্মগোপনে আছেন সেই শিক্ষক । বাড়িতে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন তিনি। নিরাপদ মনে করছেন না কর্মক্ষেত্রকেও।