You are here
Home > জাতীয় > নোয়াখালীতে পৃথক বজ্রপাতে কৃষক ও ৫টি গরুর মৃত্যু

নোয়াখালীতে পৃথক বজ্রপাতে কৃষক ও ৫টি গরুর মৃত্যু

নোয়াখালীতে মাত্র ৪ ঘন্টার ব্যবধানে ঘুর্ণিঝড় ও ভারী বর্ষণ চলাকালে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ১ কৃষক ও ৫টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্নচর ও সেনবাগে এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে হাতিয়া উপজেলার ৮নং সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মাইজচড়া গ্রামের বজ্রপাতের শিকার হয়ে আবদুল মান্নান খোকন (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। খোকন ওই এলকার মোল্লা বাড়ীর মৃত মৌলভী সৈয়দ আহমদের ছেলে। তিনি পাঁচ সন্তানের জনক।
স্থানীয়রা জানায়, বিকেলের দিকে কৃষক খোকন তার বাড়ির উত্তর পাশের একটি খেতে গরু আনতে যায়। ওই সময় বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই খোকনের মৃত্যু হয়।
হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের লাশ পারিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে বৃষ্টি চলাকালীন সেনবাগ উপজেলার ৮নং বিজবাগ ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াকান্দি গ্রামের মুজা মিয়ার বাড়ির মাঈন উদ্দিন প্রকাশ হুক্কা মিয়ার ২টি গরু গোয়াল ঘওে বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা যায়। এ সময় একটি ঝাউ গাছ বজ্রপাতের শিকার হয়ে ফেটে চৌচির হয়ে যায়। অপরদিকে, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সুবর্নচর উপজেলার ৪নং চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চর কাজী মোখলেছ উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন গ্রামের খেতে ঘাস খাওয়ার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে স্থানীয় আব্দুল মান্নান মেম্বারের ১টি গরু ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডেও মুন্সিরহাট বাজার সংলগ্ন বাসিন্দা মালেক সর্দার বাড়ির হোসেন বেপারীর ১টি গরু খেতে ঘাস খাওয়া অবস্থায় বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা যায়। একই সময়ে পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ১টি গরু মারা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল জানান, এর আগেও সুবর্নচর উপজেরার মোহাম্মপুর ইউনিয়নে আক্তার মিয়ারহাট এলাকায় ২টি, হেমায়েত মার্কেট এলকায় ৩টি ও চরজব্বর ইউনিয়নে ১টি গরু বজ্রপাতে মারা যায়।
চরজব্বার ওসি মো. জিয়াউল হক ও সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বজ্রপাতে গরুর মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Similar Articles

Leave a Reply

Top