You are here
Home > জাতীয় > নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার চার্জ শুনানি ফের পেছালো

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার চার্জ শুনানি ফের পেছালো

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অভিযোগ গঠন শুনানি ফের পিছিয়ে ৪ নভেন্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার খালেদার নাইকো দুর্নীতির মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ঢাকার ৯-এর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান অসুস্থ থাকায় ছুটিতে রয়েছেন। এ জন্য ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৪ নভেন্বর দিন ধার্য করেছেন।গত ২ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৫ ধারায় আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দাখিলের আবেদন করেন মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
২০১৯ সালের ৩ মার্চ সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলামের চার্জ শুনানি শেষ হয়। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন— সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন আরও তিন আসামি। তারা হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
মামলার ১১ আসামির মধ্যে সাবেক সচিব শফিউর রহমান ২০১৮ সালের ৫ মে মারা যায় এবং গত মার্চ মাসে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা যাওয়ায় মারা যাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৯ জন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে তিনি গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন।

Similar Articles

Leave a Reply

Top