নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে মূল পদ্মা সেতুর কার্পেটিং কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার সকালে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পুনর্বাসন সাইটসমূহে বরাদ্দকৃত প্লটের লীজ দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, মূল সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ, নদী শাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৫.২৫ ভাগ এবং পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৮ ভাগ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অবদান, পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। এটি এখন আর কোন স্লোগান নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে সাতটি পুনর্বাসন সাইট নির্মাণ করা হয়েছে। এ পুনর্বাসন সাইটগুলোয় মোট তিন হাজার এগারোটি আবাসিক প্লটের মধ্যে এ পর্যন্ত দুই হাজার নয়শ’ তেষট্টিটি প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে ভূমিহীনদের মাঝে আটশ’ চৌদ্দটি প্লট বিনামূল্যে বরাদ্দ করা হয়েছে। মোট একশ’টি বাণিজ্যিক প্লটের মধ্যে এ পর্যন্ত একাশিটি প্লট এবং একশ’ বিশটি বাণিজ্যিক স্পেসের মধ্যে এ পর্যন্ত বাহাত্তরটি স্পেস বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন সম্পন্নকৃত আটশ’ তেইশটি লীজ দলিলের মধ্যে আজ বিশটি লীজ দলিল ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে হস্তান্তর করা হলো। পর্যায়ক্রমে সবাই পাবে, কেউ বঞ্চিত হবে না।
সেতু বিভাগের সচিব মো: আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে লীজ দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, প্রধান সমন্বয়ক, ইএসএসটি মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: কামরুল হাসান এবং পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।