জুলহাস-তনয় হত্যা মামলায় মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়াসহ ৬ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় লোকনাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারের কর্মী।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, আকরাম হোসেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাক করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২৩ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ঢুকে জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এছাড়া এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন।
কলাবাগান থানার হত্যা মামলায় ২০১৯ সালের ১২ মে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম।