![](https://bangla.thenewstimesbd.com/wordpress/wp-content/uploads/2021/09/Law.jpg)
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছামাদ আজাদ হত্যা মামলায় চার জনকে ফাঁসি ও নয় যাবজ্জীবন দণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নুরুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর মাতবর, জুলহাস মাতবর ও চান মিয়া। পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাবেক চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্লা, আজিজুল মাতবর, ফারুক খান, আজাহার মাতবর, মীজান মীর, আকতার গাজী, জলিল মাতবর, এমদাদ মাতবর ও লাল মিয়া। তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দিয়েছেন,আজিবর বালী, আব্দুল খন্দকার, খোকন বেপারী, আজাহার মোল্লা ও ছোরাব মোল্লাকে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিশেষ প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ভিকটিম আব্দুস ছামাদ আজাদ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লার কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন।
পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি এলাকায় পোস্টারিং করেন, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হালিম মোল্লা হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ওই অবস্থায় ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি শিক্ষক ছামাদ আজাদ সন্ধ্যা ৭টার দিকে শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন সন্তোষপুর বাস স্টেশনস্থ লক্ষ্মীর মোডের বাবুল মুন্সির কোকারিজের দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তার ওপর আসার পরই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লা ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিবর বালীসহ ৩০ জন এবং অজ্ঞাতামানা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে পালং থানায় একটি মামলা করেন নিহত আজাদের স্ত্রী ফেরদৌসি আজাদ।
মামলাটি তদন্তের পর একই বছর ১৪ আগস্ট একই থানার এস আই শহীদুল ইসলাম ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে মামলাটি নারাজির ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তে যায়। অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১১ মে একই থানার এস আই সুলতান মাহমুদ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য শরীয়তপুরের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে ২০১৪ সালে যায়। সেখানে ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। পরে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
২০১৮ সালের ২১ জুন মামলার নথি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসার পর একই বছর ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেন। আসামি পক্ষ থেকে ৪ জন স্বাক্ষীর নাম উপস্হাপন করলেও পরবর্তী তারা আদালত সাক্ষ্য প্রদান করেনি। আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট আমিনুল গণি টিটো এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন,এডভোকেট মেহেদি হাসান।