You are here
Home > জাতীয় > চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের বিষয়ে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র : চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী

চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের বিষয়ে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র : চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী

 চীনের গৌরবময় প্রতিনিধিত্বকে উপেক্ষা করে, মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি নির্লজ্জভাবে চীনের তাইওয়ান অঞ্চলে তার সফরের সাথে এগিয়ে গেছেন, চীনা স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এ কথা বলেছেন।
এই পদক্ষেপ গুরুতরভাবে ‘এক-চীন’ নীতি লঙ্ঘন করে, দূষিতভাবে চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে এবং স্পষ্টতই রাজনৈতিক উসকানিতে লিপ্ত হয়, যা চীনা জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক বিরোধিতার জন্ম দিয়েছে।
এটি আবারও প্রমাাণ করে যে কিছু মার্কিন রাজনীতিবিদ চীন-মার্কিন সম্পর্কের ‘সমস্যা সৃষ্টিকারি’ হয়ে উঠেছে এবং তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘সবচেয়ে বড় শান্তি বিনষ্টকারি’ হয়ে উঠেছে।
চীনের পুনর্মিলনে যুক্তরাষ্ট্রের বাধা দেয়ার স্বপ্ন দেখা উচিত নয়। তাইওয়ান চীনের একটি অংশ। চীনের সম্পূর্ণ পুনর্মিলন সময়ের ব্যাপার মাত্র এবং এটিই ইতিহাসের অনিবার্যতা। আমরা ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ বাহিনী এবং বহিরাগতদের  হস্তক্ষেপের জন্য কোন সুযোগ দেব না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ বাহিনীকে যেভাবে সমর্থন বা সহযোগিতা করুক না কেন, সবই বৃথা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপের আরো কুৎসিত রেকর্ড রেখে যাবে।
চীনের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনকে খাটো করে দেখার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কল্পনা করা উচিত নয়। চীন তার নিজস্ব জাতীয় অবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক উন্নয়নের পথ খুঁজে পেয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে ১.৪ বিলিয়ন চীনা জনগণ চীনা ধাঁচের আধুনিকীকরণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আমরা আমাদের দেশ ও জাতির উন্নয়নকে আমাদের নিজস্ব শক্তির ভিত্তিতে রাখি, এবং শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে এবং অন্যান্য দেশের সাথে একত্রে উন্নয়ন করতে ইচ্ছুক। তবে আমরা কখনই কোনো দেশকে চীনের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে ক্ষুন্ন করতে দেব না।
চীনের উন্নয়ন বিলম্বিত করার এবং চীনের শান্তিপূর্ণ উত্থানকে ক্ষুন্ন করার প্রয়াসে তাইওয়ান প্রশ্নে সমস্যা উস্কে দেওয়া সম্পূণরূপে নিরর্থক হবে এবং অবশ্যই সম্পূর্ণ ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক খেলায় হেরফের করার কল্পনা করা উচিত নয়। শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন এবং জয়-জয়কার সহযোগিতা আঞ্চলিক দেশগুলোর অভিন্ন আকাঙ্খা।

Similar Articles

Leave a Reply

Top