You are here
Home > জাতীয় > চালের দাম কেজি প্রতি কমলো ৫ থেকে ৭ টাকা

চালের দাম কেজি প্রতি কমলো ৫ থেকে ৭ টাকা

আজ শনিবার সকাল থেকে প্রকার ভেদে আমদানিকৃত চালের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা করে কমেছে।

ভারত থেকে আমদানিকৃত চালের শুল্ক সরকার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকরা ২৮৮ ট্রাক চালক খালাস করা হয়েছে। খালাসকৃত চাল দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারী বাজারে বিক্রি হওয়ায় চালের বাজার কমতে শুরু করেছে।

দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর কাষ্টমস্ অধিদপ্তরের সহকারী কমিশনার মো. কামরুল হাসান আজ শনিবার  বেলা ২টায় তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, পূর্বের নির্ধারিত কাস্টমস্্ বিভাগের জারিকৃত পরিপত্রে ভারত থেকে আমদানিকরা চাল ২৫ শতাংশ কর বেঁধে দেয়া ছিল। চালের বাজার হঠাৎ করে মজুদদারদের কারনে বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য অধিদপ্তর আমদানিকারকদের চাল আমদানি করার জন্য তাগিদ দেন এবং চালের কর হ্রাস করা হবে বলে তাদেরকে আস্বস্ত করেছিলেন।

দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি কারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হারুল অর রশিদ আজ শনিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের আশ্বাস অনুযায়ী দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরের ৭ জন আমদানিকারক ভারত থেকে চাল আমদানির জন্য গত আগস্ট মাসে প্রথম সপ্তাহে এলসি খোলেন। এলসি অনুযায়ী গত আগস্টের ২৫ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ২৮৮টি ট্রাকে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস্্ কর্তৃপক্ষ পূর্বের জারি করা ২৫ শতাংশ কর প্রদান করা না হলে চাল খালাসে বাধা দেয়। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে খাদ্য অধিদপ্তর এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের মত ভার্চ্যুয়ালি আলোচনায় করের পরিমাণ হ্রাস করে ৫ শতাংশ করা হয়। ফলে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালগুলো হিলি স্থলবন্দর পানামা পোর্টে খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়।

আজ সকাল থেকে খালাসকৃত চালগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রাক যোগে পাইকারী বাজারে ছেড়ে দেয়া হয়। সূত্রটি জানায় হিলি আমদানি রফতানিকারক এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, চালের বাজার কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা কমে গেছে। ফলে স্বর্ণ চাল ৫৭ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আজ শনিবার ৫০ টাকা কেজিতে খুচরা বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে। মিনিকেট চাল ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও তা ৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এভাবেই চালের প্রকার ভেদ অনুযায়ী প্রতিটি চাল কেজি ৫ থেকে ৭ টা কমে বিক্রি হচ্ছে।

চাল আমদানিকারক শাহ আলম জানান, তাদের আমদানিকৃত চাল স্বল্প লাভেই বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। কারণ খাদ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী তারা আমদানিকৃত চাল বাজারে ছেড়ে দেয়ায় চালের বাজার স্বল্প সময়ের মধ্যেই ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে বলে তিনি আস্বস্ত করেন।

Similar Articles

Leave a Reply

Top