দুদকের বিধি চ্যালেঞ্জ করে দুদকের চাকরি থেকে অপসারিত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের আনা রিটের শুনানি মুলতবি রাখা হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট খুরশিদ আলম খান। তিনি সাংবাদিকদের আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।
আদালতে শরীফের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। গত ১৬ জুন হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়। গত ১৩ মার্চ চাকরি ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন দুদক থেকে অপসারিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।
গতবছর ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়। দুদকের পরিচালক (প্রশাসন ও মানব সম্পদ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিভ্রান্তি দূর করতে শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ বিষয়ে দুদক সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের কারণ হিসেবে অনিয়ম দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার ১৩ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেন দুদক সচিব।
মোঃ শরীফ উদ্দিন দুদক চট্টগ্র্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন এসেছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে অনেক ভুক্তভোগী দুদকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি দুদক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন মামলায় শরীফ উদ্দিনের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে অনেক গণমাধ্যম।
চাকরি অপসারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়।