You are here
Home > জাতীয় > চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ও হার বেড়েছে

চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ও হার বেড়েছে

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ও হার কিছুটা বেড়েছে। এ সময়ে নতুন ৬১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, শাহ আমানত বিমানবন্দর ও নগরীর ১০ ল্যাবে গতকাল সোমবার ২ হাজার ৫১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৬১ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ৫২ ও তিন উপজেলার ৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৬ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন ও  পটিয়ায় একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ১৪৬ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৯১ হাজার ৭৪৬ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৪শ’ জন। 
করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩২০ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২১৭ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৪ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২২২ নমুনায় শহরের ৩টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩টি আক্রান্ত পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ১১৩ নমুনায় শহরের ৩টিতে জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় সবারই নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩১৬টি নমুনার মধ্যে একটিতেও সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।

এদিন বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ল্যাব এইড ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ৯৪, চমেকহা’য় ১৩ দশমিক ৫৪, সিভাসু’তে ৯ দশমিক ০৯, শেভরনে ১ দশমিক ৫৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ৮৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১ দশমিক ৩৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২ দশমিক ২৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ২ দশমিক ৬৫ এবং চবি, মেট্রেপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ।

Similar Articles

Leave a Reply

Top