You are here
Home > জাতীয় > খালেদার দুই মামলার চার্জ শুনানি আবারো পিছালো

খালেদার দুই মামলার চার্জ শুনানি আবারো পিছালো

ভুয়া জন্মদিন উদযাপন ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুই মামলার চার্জ গঠনের শুনানির  আবারও পিছিয়ে ৩ নভেন্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গতকাল সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এ পৃথক দুই মামলার চার্জ শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তার নিয়োজিত আইনজীবী সময় আবেদন করেন  আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির এ তারিখ ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন উদযাপনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম। 

ভুয়া জন্মদিন উপযাপনের বিষয়ে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দু’টি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী, জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেন্বর ১৯৪৬ সাল। 

১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিক তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল উল্লেখ করা হয়েছে। আর বিয়ের কাবিন নামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয়েছে ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সবশেষ ২০০১ সালে পাসপোর্ট অনুযায়ী, তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট খালেদার জন্মদিনের তারিখ পাওয়া যায়নি।

এ অবস্থায় পাঁচটি জন্মদিন থাকলেও একটি জন্মদিন পালন না করেও ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করেছেন খালেদা জিয়া। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি এটা করেন বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে খালেদা জিয়া দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন-অভিযোগ করে ২০১৬ সালরে ৩ নভম্বের জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন।২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এই দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান খালেদা জিয়া।

Similar Articles

Leave a Reply

Top