প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের দূত এবং ভবিষ্যৎ কৌশল বিষয়ক সিনিয়র সচিব জাং সুং মিন আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।”
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
কোরিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই কোরিয়া বিশেষ করে টেক্সটাইল ও অবকাঠামো খাতে সহযোগিতা করে আসছে।
বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন প্রসঙ্গে দূত বলেন, তার দেশ আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী। তিনি বলেন, আগামী দিনে এই সম্পর্ক ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী হবে।
১৯৭২ সালের ১২ মে কোরিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার মধ্য দিয়ে ৫০ বছর আগে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
বৈঠকে কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দূত বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানান।
জাং সুং মিন বলেন, পরিদর্শনের পর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কথা জানতে পেরে ‘মুগ্ধ ও আপ্লুত’ হয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের দূত প্রধানমন্ত্রীকে দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রীও কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কিউন উপস্থিত ছিলেন।