You are here
Home > জাতীয় > কর্নেল শহিদ ও তার স্ত্রীর দশ বছরের কারাদণ্ড

কর্নেল শহিদ ও তার স্ত্রীর দশ বছরের কারাদণ্ড

অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী মিসেস ফারজানা আনজুম খানকে জাল টাকা রাখার অভিযোগে দশ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমা  রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় কর্নেল(অব:) শহিদ তার স্ত্রী জাল টাকা রাখার অভিযোগে দশ বছর করে কারাদণ্ড ছাড়াও তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস বেশী কারাভোগ করতে হবে।

কর্নেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরী ও তার স্ত্রী মিসেস ফারজানা আনজুম খান পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেছেন।

মামলার অন্য দুই আসামি সৈয়দ আকিদুল আলী ও খোরশেদ আলম পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে এ মামলায় খালাস পেলেও গত বছর ১০ নভেম্বর একই আদালত  অস্ত্র ও গুলি রাখার মামলায় কর্নেল শহিদ তার স্ত্রীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।  এ কারণে তারা কারামুক্ত হতে পারছেন না। আরেক আসামি জহুরুল হক খন্দকার মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রীর মালিকানাধীন ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন বারিধারা ডিওএইচএস এর ২ নম্বর রোডের ১৮৪ নম্বর বাসা থেকে দীর্ঘদিন একটি সংঘবদ্ধ চক্র সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ আরকেটি পিস্তল, একটি শর্টগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ এবং শর্টগানের দুইটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তাদের শোয়ার ঘরের ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারের মধ্য থেকে এক হাজার টাকার তিন বান্ডিল নোট (তিন লাখ টাকা) জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ফেক কারেন্সি নোট টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) বিপ্লব কিশোর শীল ওই দিনই ক্যান্টনমেন্ট থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।  এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধ আইনেও একটি মামলা করা হয়। পরে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলাটি রাষ্ট্র পক্ষে পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কবীর আহাম্মদ রুমী ।

Similar Articles

Leave a Reply

Top