You are here
Home > জাতীয় > একুশ শতকের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে কিশোরী মেয়েদের সহায়তা করবে এইচএসবিসি ও ব্রিটিশ কাউন্সিল

একুশ শতকের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে কিশোরী মেয়েদের সহায়তা করবে এইচএসবিসি ও ব্রিটিশ কাউন্সিল

দি হংকং ও সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশ এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল সম্প্রতি ২৪০০ কিশোরী মেয়েদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদানে একটি নতুন প্রকল্প শুরু করেছে। ‘ইংলিশ এন্ড ডিজিটাল ফর গার্লস এডুকেশন (এডজ)’ শীর্ষক এই প্রকল্প, স্কুল কার্যক্রমের বাইরে ও প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা দরিদ্র কিশোরী মেয়েদের আত্মবিশ্বাস গঠনে ও তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবনে যোগ্য হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।

‘এডজ ২০২১’ প্রকল্পের ভারচুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনষ্ঠিানে বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার, হিজ্ এক্সিলেন্সি রবার্ট চ্যাটার্সন ডিকসন; এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও, মো: মাহবুব উর রহমান; বৃটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিশশা এবং ‘এডজ পিয়ার গ্রæপ’ লিডারস্ জেনী আক্তার ও সাদিয়া উপস্থিত ছিলেন।

‘এডজ’ স-শরীরে এবং দূরশীক্ষণ- উভয় মডেলেই বাংলাদেশ ব্যাপী কিশোরী মেয়েদেরকে ২১ শতকের যোগ্যতায় শিক্ষিত করবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দরিদ্র কিশোরী মেয়েরা প্রয়োজনীয় ইংরেজী ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞান লাভ করে নিজেকে সক্ষম করে তুলতে পারবেন। বৈশ্বিকভাবে চলমান মহামারীর ফলে শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ কমে আসায় এ কার্যক্রমটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। ‘এডজ’ পূর্বেও ২০১২ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করেছে এবং এবারের ‘এডজ’ প্রকল্পে নতুন কিছু প্রশিক্ষণ উপকরন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় কিশোরী মেয়েদেরকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ‘পিয়ার গ্রæপ লিডার’ হিসেবে তৈরী করে তাঁদেরই সহায়তায় নতুনদের প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। এর ফলে এসকল কিশোরীরা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে।

বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার, হিজ্ এক্সিলেন্সি রবার্ট চ্যাটার্সন ডিকসন বলেন, “বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই ইংরেজি ভাষা এবং ডিজিটাল দক্ষতা একবিংশ শতাব্দীর অর্থনীতিতে সাফল্য অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এডজ বাংলাদেশের মাধ্যমে, অর্থনৈতিক সুযোগ ও সক্ষমতা প্রদান করে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং এইচএসবিসি প্রান্তিক কিশোরী মেয়েদের মধ্যে এই সক্ষমতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবে। এটি শিক্ষাকে আরও যথার্থ করে তোলা এবং মেয়েদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্যদের সাথে চলমান আমাদের কার্যক্রমকে সমর্থন করে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সৃষ্ট বিঘ্ন এধরনের প্রচেষ্টাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি করে তুলেছে এবং আজ এই কর্মসূচি উদ্বোধন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”

এসম্পর্কে এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও, মো: মাহবুব উর রহমান বলেন, “আমাদের গ্রাহক, কর্মী ও কমিউনিটিকে ভবিষ্যৎ দক্ষতা প্রদান করাই এইচএসবিসি’র সামাজিক দায়বদ্ধতার মূল লক্ষ্য। এডজ প্রকল্পটি, শহর ও গ্রামের ২৪০০ কিশোরী মেয়েদের ভবিষ্যৎ জীবনে যোগ্য হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। এই মহৎ উদ্যোগে আমাদের সহযোগিতা করার জন্যে আমি ব্রিটিশ কাউন্সিলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।”

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিশশা বলেন, বাংলাদেশে আমাদের কাযক্রমের ৭০ বছর প‚র্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর প‚র্তির সাথে মিল রেখে এ বছরই এডজ ২০২১ শুরু করতে পেরে আমরা গর্বিত। পরিবার, অর্থনীতি ও সমাজের জন্য অবদান রাখতে প্রান্তিক পর্যায়ের নারী ও তরুণীরা যেন স্বাধীনভাবে তাদের জীবন বেছে নিতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাদের মাঝে ইংরেজি বিষয়ক দক্ষতা, একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল দক্ষতা ও সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল এইচএসবিসির মতো শক্তিশালী অংশীদারদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।”

এইচএসবিসি ও ব্রিটিশ কাউন্সিল এই প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় সেবা প্রদানকারী ‘ডিনেট’ এবং ‘স্প্রীহা ফাউন্ডেশনের’ সাথেও কাজ করছে।

Similar Articles

Leave a Reply

Top