You are here
Home > জাতীয় > ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা ও সিইও রাসেল তিন দিনের রিমান্ডে

ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা ও সিইও রাসেল তিন দিনের রিমান্ডে

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ শুক্রবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে গুলশান থানায় প্রতারণায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারি কর্মকর্তা গুলশার থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াহিদুল ইসলাম। এদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিটন তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম উভয় পক্ষের  শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে  তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব।
বুধবার দিবাগত রাতে আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। 
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা গত মে ও জুন মাসে কিছু পণ্য অর্ডার করেন। তারা পণ্যের অর্ডার বাবদ বিকাশ, নগদ ও সিটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করেন । পণ্যগুলো সাত থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারির কথা ছিল। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই সময় সীমার মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করে অর্ডার করা পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বাদি ও তার বন্ধুরা।
একপর্যায়ে ইভ্যালি পণ্য সরবরাহ কিংবা টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডির অফিসে যান ভুক্তভোগীরা। এ সময় তারা ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সেখানে থাকা অফিসের কর্মীরা বাদি ও তার বন্ধুদের ওপর উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। একপর্যায়ে অফিসের অভ্যন্তরে থাকা ইভ্যালির সিইও রাসেল উত্তেজিত হয়ে তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে বাদিসহ অন্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে পণ্য অথবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। 
ইভ্যালির অফিসে তাকে ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকিসহ দুর্ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পণ্যগুলো বুঝে না পাওয়ায় তিনি আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। 
এরআগে গত ২৫ আগস্ট ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছিল। 
এরইমধ্যে বিএফআইইউ নাসরিন ও রাসেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়।

Similar Articles

Leave a Reply

Top