রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) আইন-২০১৯ সংস্কার ও সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ।
সলিডারিটি সেন্টার-বাংলাদেশ অফিসের উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে শুক্রবার সকালে গোলটেবিল বৈঠকে এই আহবান জানানো হয়।
সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর একেএম নাসিমের সভাপতিত্ব সলিডারিটি সেন্টারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার লিলি গোমেজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখের ঢাকা প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক, দ্বিতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুরুল ইমাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, শ্রম আদালত আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান, উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি নাজমা বেগম, সলিডারিটি সেন্টারের লিগ্যাল কাউন্সিলর সেলিম আহসান খান প্রমুখ।
ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, দেশের ১০০ টি নতুন অর্থনৈতিক জোনে প্রায় ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। তখন এই আইনটি কর্মীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় হবে। তাই আইনটি এখনই সংশোধন করার জন্য উদ্যোগী হতে হবে। ইপিজেড শ্রম আইন আইন প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
তারা বলেন, বর্তমান ইপিজেড শ্রম আইন শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং দেশের বাকি শ্রমিকদের থেকে আলাদা করে রাখে। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের জুন ২০২১ তথ্য অনুযায়ী দেশের আটটি ইপিজেডে বর্তমানে ৫৩৩টি অনুমোদিত শিল্প ইউনিটের মধ্যে ২৫৭টি বিদেশী মালিকানাধীন, ৬৩টি যৌথ ও ১৪১টি স্থানীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ২০৫ জন শ্রমিক কর্মরত যার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী কর্মী রয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক বলেন ইপিজেড শ্রম আইনে অনুযোগপত্রের ব্যপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। ‘আইন খুব ভালো উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়। কিন্তু যদি সেই আইনে ত্রুটি থাকলে তার সুফল পাওয়া যায় না।’