প্রতারণার ও চাঁদা দাবীর মামলায় আশিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নজরুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
প্রতারণা,চাঁদা দাবীসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার সিআইডির প্রতিবেদন দাখিলের পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে।
মামলার অপর আসামি হলেন এমডির পিএস জাকির হোসেন ।
বৃহস্পতিবার বাদীপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মনির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি বিষয়টি জানান। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে আসামিদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন বলেও তিনি জানান।
আলী হোসেন নামে এক ঠিকাদারী ব্যবসায়ী গত বছর ৩ জুন আদালতে দুই জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আলী হোসেন মেসার্স আরিফ মোজাইক ওয়ার্কস নামীয় ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে ঠিকাদারী ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নজরুল ইসলাম ভুইয়ার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আলী হোসেন ৩ কোটি চার লাখ ২৪ হাজার ৭৮৫ টাকা পান। আলী হোসেন টাকা পাওয়ার জন্য বিল দাখিল করেন। আসামিরা আলী হোসেনকে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এক কোটি ৪৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৫ টাকা প্রদান না করে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকেন। আলী হোসেন টাকার জন্য আসামিদের একাধিকবার অনুরোধ করলেও তারা টাকা পরিশোধ করেননি।
গত ৩০ মে বিকেলে আলী হোসেন নজরুল ইসলাম ভুইয়ার অফিসে যান। পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বললে নজরুল ইসলাম ভুইয়া আলী হোসেনের ওপর ক্ষিপ্ত হন। নজরুল ইসলাম ভুইয়ার নির্দেশে জাকির হোসেন তার সহযোগী ২/৩ জন আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে বাদীকে নিয়ে যায়। তার একটি মোবাইল, নগদ ২৮ হাজার টাকা, পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে পাচঁ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।
মামলাটি তদন্ত করে গত ১১ নভেম্বর দুই জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক হারুন অর রশীদ। গত ৮ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। বুধবার আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।