আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের বাংলাদেশ অংশের প্রধান সমন্বয়কসহ সাতজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক আসামিদের হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন।অপর দিকে আসামিদের পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে প্রত্যেকের ৪ দিন করে রিমান্ড মন্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন—নারীপাচার চক্রের সমন্বয়ক নদী আক্তার ওরফে ইতি ওরফে নুর জাহান, তরিকুল ইসলাম, আল আমিন সোহেন, সাইফুল ইসলাম, বিনাশ সিকদার, আমিরুল ইসলাম এবং পলক মণ্ডল।
শুনানিতে আসামী পক্ষের আইনজীবী বলেন, আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। আসামীদের কাজ করার সময় যশোর এবং নড়াইল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে। কাউকে ৭ দিন আগে, কাউকে ১৫ দিন আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে বলছে, নারীদের যশোরের সীমান্তবর্তী বাড়িতে রেখে সুযোগমতো অবৈধ পথে ভারতে পাচার করত চক্রটি। পাচারকৃত প্রত্যেকের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ১ হাজার টাকা করে দিতেন। পাচারকালে কোনো নারী বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য তাকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতেন।বতমার্নে ইউপি সদস্য আত্নগোপনে আছে তার ও অপর আসামিদের অবস্হান জানার জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিদের রিমান্ডের প্রয়োজন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোরের শার্শা থেকে আল আমিন, সাইফুল ও আমিরুলকে, বেনাপোল থেকে নদী আক্তার, পলক মন্ডল ও তরিকুলকে এবং নড়াইল থেকে বিনাশ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভারত থেকে পালিয়ে আসা এক নারীর হাতিরঝিল থানার দায়ের করা মামলায় এই সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।