আগামী বছর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত নির্মাণ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী আজ পিপিপি ভিত্তিতে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে একথা জানান।
তিনি জানান, তিনটি ধাপে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রথম ধাপে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত, দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেল স্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত এবং তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে।
প্রথম ধাপের ভৌত অগ্রগতি শতকরা ৬৬.২৫ ভাগ, দ্বিতীয় ধাপের ভৌত অগ্রগতি শতকরা ২১.৫০ ভাগ এবং তৃতীয় ধাপের ভৌত অগ্রগতি শতকরা ২.৩৩ ভাগ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩০.৫০ ভাগ।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটির রুট নির্ধারিত হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী- মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
পরিদর্শনকালে সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, প্রকল্প পরিচালক এএইচএম আখতার হোসেনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।