ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ১৯০টি ইউনিয়ন ছাড়া ইতোমধ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল, দ্বীপ, চর ও হাওর এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার অনলাইনে (ভার্চূয়ালি) মধুপুরের দুর্গম পাহাড়ে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার আম্বার আইটি’র উদ্যাগে মধুপুরের গারো জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত কয়েকটি গ্রামে এই সংযোগ প্রদান করে। প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় গ্রামবাসীর আকুতি শীর্ষক একটি প্রতিবেদন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্িযকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় বৃহস্পতিবার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা সম্পাদক মতিউর রহমান, সাংবাদিক মুনীর হাসান, প্রতিবেদক রাহিতুল ইসলাম এবং গ্রামবাসীর পক্ষে সুবীর নাগরিগ তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা এই অসাধারণ উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মধুপুরের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলসহ দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, সারাদেশে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। তাদেরকে ডিজিটাল সংযোগ দিতে পারলে নতুন নতুন অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিতে শত-শত বছর পিছিয়ে থাকা এই জাতি আগামী দশ বছরে পৃথিবীর কোনো দেশ থেকে এক চুলও পিছিয়ে থাকবে না। ‘আমরা ইতোমধ্যে ফাইভ-জি উদ্বোধন করেছি। কৃষি, মৎস্য চাষ ও শিল্প-বাণিজ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ফাইভ-জি হবে এগিয়ে যাওয়ার বড় হাতিয়ার।’
মোস্তাফা জব্বার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিভাকে বিকশিত করতে উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগসহ সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি প্রথম আলো এবং আম্বার আইটিকে তাদের ভূমিকার জন্য প্রশংসা করেন।
আদিবাসি তরুণ সুবীর নাগরিক উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ায় তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকালে বলেন,‘পাহাড়ে আমরা উচ্চগতির ইন্টারনেট পাচ্ছি, এটা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো’।