আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ পরমতসহিষ্ণু বলেই বিএনপি এখনো রাজনীতি করতে পারছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি সরকারের সমালোচনা করতে পারছে এবং বক্তৃতা, বিবৃতি, মানববন্ধন, আলোচনা, টকশো’সহ নানা উপায়ে সমালোচনা করছে। এ জন্য সরকার তো তাদের কোনো শাস্তি দিচ্ছে না।’
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার সকালে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সহনশীল বলেই পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা, একুশে আগস্ট শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে হত্যার চেষ্টা করার পরেও আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ পারায়ণ হয়নি।
‘সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গত একযুগ ধরে এমন কথা বলে আসছে। প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, বিএনপি’র পায়ের নিচেই মাটি নেই, তাদের পায়ের নিচে মাটি থাকলে তো তারা রাজপথে নামতো,নির্বাচনেও আসতো।
তিনি বলেন, নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জন্য বিএনপি’র পায়ের নিচে মাটি নেই, তাই তারা শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচন বিমুখ।
১৫ ফেব্রুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিই গনতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে চেয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সোয়া এক কোটি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গনতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল। এমনকি বিএনপি সংবিধান থেকে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলোৎপাটনও করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের রক্ষাকারী। জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাকালীন হ্যাঁ- না ভোট করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো।
গণতন্ত্র বিকাশের পথে বহু বাধা – বিপত্তিকে অতিক্রম করে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে সঠিক পথে এনেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরদিকে বিএনপি তাদের অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে গণতন্ত্র বিকাশে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
সেতু মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া সময়ের ব্যাপার কিন্তু বিএনপি যদি বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতো তাহলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে খুব দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতো না।
তিনি বলেন, সরকার ও বিরোধীদল উভয় মিলেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারে, কিন্তু সেখানে বিরোধীদল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বারবার বাধা সৃষ্টি করে চলছে।
বিএনপি আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে এখন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানী দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল, জনগণ সরকারের ওপর খুশি বলেই বিএনপি’র গাত্রদাহের কারণ এমন দাবি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়েছিল দেশের মানুষ না খেয়ে রাস্তায় মরে পড়ে থাকুক, কিন্তু তা হয়নি বলে বিএনপি’র অন্তর্জালা শুরু হয়েছে।