অস্ত্র মামলায় দুবাই প্রবাসী স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।
রায়ে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এরআগে রবিবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন। এ মামলায় ২০ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতে শ্বশুরের মগবাজারের বাসায় যান। গুলিভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার কুন্ডু।
আসামি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
একই বছরের ১০ মে আদালত রবিউলের বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ও ১৯ (এফ) ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান রবিউল। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। চলতি বছরের গত ২৩ মার্চ রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি হিসাবে রেড নোটিশের তালিকায় তার নাম পাওয়া যায়।