শিশুদের জন্য সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মকে সংবেদনশীলতার শিক্ষা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। “সাংবাদিকতা কেন করবো, কিভাবে করবো” শীর্ষক দুই দিনব্যাপি এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তারা আজ এ আহ্বান জানান।
চিলড্রেন এ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (সিএজেএন) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ শিশুদের জন্য সংবেদনশীল ও কল্যাণকর সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক জনাব আবুল কালাম আজাদ এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, একজন ভালো সাংবাদিক হয়ে উঠতে হলে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। তাই শিশু-কিশোরদের প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ভালো দিকগুলো গ্রহণ করে, দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এই দেশে অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশনস) চন্দন জেড গোমেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু এবং সিএজেএন এর সাধারণ সম্পাদক শীপন হাবিব। সিএজেএন’র প্রেসিডেন্ট মাহফুজা জেসমিনের পরিচালনায় দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু আইন বিশেষজ্ঞ এডভোকেট রওশন আলী এবং চ্যানেল আই-এর বিশেষ সংবাদদাতা ও সিএজেএন-এর সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল মল্লিক।
চন্দন জেড গোমেজ বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর অন্যতম লক্ষ্য হল শিশুদের মানুষের মত মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সহায়তা করা। আমরা প্রান্তিক শিশুদের আগামী দিনের যোগ্য সন্তান ও নেতা হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করছি। আমরা সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ‘শিশু বান্ধব নগর’ গড়তে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছি।
কর্মশালায় সাংবাদিকতায় আগ্রহী শিশু ফোরামের ২৫ জন সদস্য প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। এসময় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কর্মশালার দ্বিতীয়দিন আগামীকাল সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। পরে তারা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া হাউস পরিদর্শন করবেন।